কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কর্তৃক কর্মরত সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে দফায় দফায় মারধরের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ৩ শিক্ষার্থীকে ২ সেমিস্টার করে বহিষ্কার এবং ৯ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশ সূত্রে, গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ প্রতিবেদকের (শিক্ষার্থীদের) মধ্যে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয় তদন্তের জন্য উপাচার্য কর্তৃক গঠিত কমিটির সুপারিশ এবং গত ৩০ অক্টোবর (২০২৫) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭১তম (সাধারণ) সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত ৩৮-এ অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান (রোল ৭০৭৮) সাংবাদিককে তলপেটে লাথি মারে এবং সাংবাদিকের মোবাইল রিসেট দেয়া অবস্থায় মেডিকেল সেন্টারে ফেলে রাখার দায়ে এবং তার বিভাগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বরাতে প্রক্টর বরাবর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার কারণে তাকে (নাহিদ হাসান) ৪র্থ বর্ষে ২ (দুই) সেমিস্টারের জন্য সর্বপ্রকার একাডেমিক কার্যক্রম হতে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ মোর্শেদ (রোল ৭০২০) অপরাধ সংঘটনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং আফসানা পারভীন তিনা (রোল ৭০৫১) মোবাইল কেড়ে নিয়ে উস্কানিতে জড়িত ছিল বলে প্রমাণিত হওয়ায় একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম (রোল ৭০০৪), মিল্টন মিয়া (৭০২৫), মশিউর রহমান (৭০১৩), রাকিব হোসেন (৭০১৬) ও ২০২০-২০২১ বর্ষের সৌরভ দত্ত (৭০১৪) মিনহাজুল আবেদীন (৭০০৮), সাব্বির হোসেন (৭০০২) সৌরভ হোসেন সজীব (৭০১৩) এবং ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ফরিদুল আলম পান্নাকে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থীর আবাসিকতার বিষয়ে জুলাই-৩৬ হলে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. শামছুল হক ছিদ্দিকী বলেন, ”আমরা শনিবারে এ বিষয়ে হল প্রশাসন মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে সে যেহেতু বর্তমানে বৈধ শিক্ষার্থী না সেহেতু হলে না থাকার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”
শহীদ আনাস হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল কাদের বলেন, “এখনও আমরা অফিসিয়ালি হাতে চিঠি পাই নি। তবে যেহেতু শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে এবং ছাত্রত্ব নেই সেক্ষেত্রে চিঠি পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিবো।”
মন্তব্য করুন