গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের শক্ত অবস্থানে ফিরেছে হামাস। তারা আবারও বিভিন্ন এলাকায় চেকপয়েন্ট বসিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়েছে এবং ইসরায়েলের সহযোগী বলে চিহ্নিতদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলার পরও হামাস দ্রুতগতিতে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নিরাপত্তা প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, তারা উপত্যকাজুড়ে আবারও প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে নিচ্ছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর আলোচনায় হামাসের এই অবস্থান বড় প্রভাব ফেলবে।
গত শুক্রবার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী, সোমবারের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই হামাস নিজেদের কঠোর শাসনব্যবস্থায় ফিরতে শুরু করে।
উত্তর গাজায় তারা দুটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, যারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছিল বলে জানা গেছে। গাজা সিটিতে মুখোশধারী যোদ্ধারা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্র তল্লাশি চালাচ্ছে, আর খান ইউনিসে স্থানীয় মিলিশিয়াদের সঙ্গে বৈঠক করে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী সব গোষ্ঠীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ ও নেতাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। তবে রাফাহ অঞ্চলের ইয়াসির আবু শাবাবের নেতৃত্বাধীন পপুলার ফোর্সেস এই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় শুধু হামাস নয়, ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, তারা এখন গাজায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে।
Leave a Reply