বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার অংশীদার বানাতে চান তারা। বাংলাদেশের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন এক দেশ গড়া, যেখানে প্রতিটি মেয়ের থাকবে সমান স্বাধীনতা, সুযোগ ও সুরক্ষা—যা প্রতিটি পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ ঘোষিত ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য— “The Girl I Am, The Change I Lead: Girl on the Frontline of Crisis”। এই প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তারেক রহমান বলেন, “একজন কন্যার বাবা হিসেবে আমি জানি মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু নীতি নয়—এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি সরকারের সময় নারী ও কন্যাশিশুর উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিল।
তারেক রহমান বলেন, “রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পোশাক খাতকে এমন এক শিল্পে রূপ দেন, যা লাখো নারীর আয়, সম্মান ও স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। খালেদা জিয়া মেয়েদের শিক্ষাকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন, বিনামূল্যে মাধ্যমিক শিক্ষা ও ‘খাদ্য বা টাকার বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সরকারের Female Secondary School Assistance Project ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম প্রকল্প, যা মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠা করে এবং বাল্যবিবাহ কমিয়ে আনে।”
ভবিষ্যৎ নীতিমালা সম্পর্কে তিনি জানান, বিএনপি মেয়েদের ক্ষমতায়নে ছয় দফা পরিকল্পনা নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে— নারী পরিবারের প্রধানদের নামে ‘পরিবার কার্ড’, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ, চলাফেরার স্বাধীনতা এবং সামাজিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন।
শেষে তিনি বলেন, “আমরা খালি বাক্যবুলিতে কথা বলি না। আমরা বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে নির্ধারিত লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি। প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার অংশীদার বানাব, বাধা নয়।”
Leave a Reply