সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সিএনজি-অটোরিক্সা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে এই সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে ডেমরা সড়কের মাথায় চাঁদা উত্তোলন করছে বলে জানা গেছে।
এই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা হলো, শিমরাইল টেকপাড়া এলাকার আলমাস মুন্সি, রাকিবুল হাসান রিফাত, চেয়ারম্যান বাড়ীর বিল্লাল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর শিমরাইল মোড়ের ডেমরা সড়কের মাথায় সিএনজি ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজীর নিয়ন্ত্রণ নেয় চাঁদাবাজ আলমাস মুন্সি, রাকিবুল হাসান রিফাত ও চেয়ারম্যান বাড়ীর বিল্লাল।
গত বছরের ৫ আগষ্টের আগে এই স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ করতো বিদেশে পালিয়ে থাকা নারায়ায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মামা শ^শুর জালাল উদ্দিন ওরফে জালাল মামার ভাগিনাখ্যাত আনোয়ার হোসেন আনু। বর্তমানে এই স্যান্ডটি নিয়ন্ত্রন করছেন আলমাস মুন্সি,রাকিবুল হাসান রিফাত ও বিল্লাল। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন সিএনজি থেকে ৫০ টাকা এবং অটোরিক্সা থেকে ৩০ টাকা করে জোরপূর্বক আদায় করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি চালক জানান, ভাই এই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রাখলেও এই রাস্তা দিয়ে গেলেই আলমাস মুন্সিকে টাকা দিতে হয়।
এই স্ট্যান্ডে অটোরিক্সা থেকে চাঁদা আদায়কারী রানা জানান, স্যার সারাদিন আমি এই রাস্তার যানজট ছুটাই সেজন্য ড্রাইভাররা আমাকে খুশি হয়ে ২০/৩০ টাকা করে দেয়। এই টাকা থেকে নিয়মিত রিফাতকে দিতে হয় ৩০০ টাকা, চেয়ারম্যান বাড়ীর বিল্লালকে দিতে ২০০ টাকা এবং আলমাস মুন্সিকেও চা-পানি খাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। তাদেরকে টাকা না দিলে রিফাত ও বিল্লাল আমার কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমাস মুন্সি বলেন, কাকা কি করমু সারাদিন মার্কেটের সামনেই বসে থাকি সিএনজি চালকরা খুশি হয়ে আমাকে ৪০/৫০ টাকা দেয়।
জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কোন ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যে কোন অপরাধ নির্মূলে তৎপর রয়েছে র্যাব। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply