রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারী সংস্থা সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান “”নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট””বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসের একজন সৎ নিস্ঠাবান উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ নিজ হস্তক্ষেপে সার্বিক তদারকিতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বর্তমান নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। তারই ধারাবাহিকতায় একজন সৎ দক্ষ উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ একজন কর্মবীর মানুষ। তার হস্তক্ষেপে নিষ্ক্রিয় হয়েছে দালালদের উপদ্রব।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে যথাসময়ে পাসপোর্ট এর সেবা পাচ্ছে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা। নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকরা কোন দালাল চক্র বা অসাধু ব্যাক্তির খপ্পরে না পরে সে জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢুকতেই চোখে পড়বে অফিস ভবনের প্রত্যেক তলায় ও সিঁড়িতে কোন কর্মকর্তা কোথায় বসেন সেই দিক-নির্দেশনা। এ ছাড়া নিচ তলাতেই কোন কাজের জন্য কোন রুমে যেতে হবে তা উল্লেখ করে বড় করে নিয়মাবলী নোটিশ বোর্ড লাগানো রয়েছে। আর এভাবেই পাসপোর্ট আবেদনকারীদের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্তৃপক্ষ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিজের পাসপোর্টের আবেদন পত্র নিজে জমা দিয়ে সহজেই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশি সেবা গ্রহণকারী সাধারণ মানুষ। আঞ্চলিক এই পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করতে কড়াকড়ি নির্দেশ প্রদান করেছে এই কর্তব্যপরায়ন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বর্তমানে প্রধান দ্বায়িত্বে উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,যারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে তাদের জাতীয় এন,আই,ডি কার্ড এবং নাগরিকত্বের প্রমানাদি পেলে আবেদন কারীকে যথা সময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হয়,আমাদের পাসপোর্ট অফিসে জটিলতার কোন অবকাশ নেই। তাছাড়া পাসপোর্ট অফিসের দক্ষ সিকিউরিটি আনসার বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সর্বদা সচেষ্ট ডিউটিরত অবস্হানে কারনে কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ভেতরে পাসপোর্ট অফিসে মূল ফটকে প্রবেশে করতে পারে নাহ।
আমাদের এখানে হাই রেজুলেশনের ক্লোজ সার্কিট সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দক্ষ আইটি এক্সপার্ট দিয়ে সর্বদা মনিটরিং চলে।
ইচ্ছা করলেই অফিসে যে কেও যখন তখন কোন অপরাধ করলে সাথে সাথে তাদের শনাক্ত করে সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোর্পদ করা হয়। সরেজমিনে জানা যায়, মাহবুব নামে নারায়ণগঞ্জ দেলপাড়া এলাকার স্হানীয় সৌদিআরব থেকে আগত প্রবাসী বলেন,আমি আমার পাসপোর্ট রেনু করতে আসছি আমি পাসপোর্ট অফিসে কর্মকতাদের আচার আচারনে সহোযোগীতা অনেক খুশি কারন এতো অল্প সময়ে তাদের আন্তরিকতায় গ্রাহক সেবা পেয়েছি তা আসলেই অতুলনীয়। আমি দাড়িয়ে দেখলাম পাসপোর্ট অফিসে দালাল মুক্ত ছাড়া পাসপোর্টের আবেদনকারীরা আবেদন করছেন। এতে লক্ষ্য করে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক প্রশান্তি গ্রাহক সেবা নিয়ে বিদেশে যেতে পারচ্ছে।
ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীরা গ্রাহকরা নিজেদের ঝামেলামুক্ত রাখায় সরাসরি নিজের পাসপোর্ট এর কাজ স্বাছন্দ্য ভাবে নিজেই করতে পারছেন।
এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায় নিজের পাসপোর্ট সরাসরি আবেদন করতে পারছেন বলেই আগের মত দীর্ঘসময় ব্যয় করতে হচ্ছে না পাসপোর্টের সেবা গ্রহীতাদের। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে পাসপোর্ট গ্রাহকরা নিজের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে ১০ বছর মেয়াদে- ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ব্যাংক জমা ৮ হাজার ৫০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে সেটা-১০ হাজার ৩৫০ টাকা। একই সংখ্যক পাতায় ০৫ বছরের মেয়াদে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে জমা দিতে হয় ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। এছাড়া ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টে ১০ বছরের জন্য ৫ হাজার ৭৫০, আর জরুরী পাসপোর্ট করলে ৮ হাজার ৫০ টাকা করে পাসপোর্ট গ্রাহকরা জমা দিচ্ছেন সরকারি চার্জ অনুযায়ী এক টাকাও বাড়তি টাকার নেওয়ার অবকাশ নাই। এ মধ্য ০৫ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের আবেদন ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা। আর জরুরী ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
এসব সরকারী ফি এর বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগই নেই এই নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
Leave a Reply