বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, জামায়াত যখন কারও প্রতি শত্রুতা ঘোষণা করে, তখন তারা যে ভাবে আক্রমণ করে—বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তা সক্ষম নয়। সম্প্রতি এক টক শোতে তিনি বলেন, জামায়াত একটি অত্যন্ত সংগঠিত দল; তাদের কর্মী-সমর্থকরা পার্টির জন্য বাঁচতে ও মরতে প্রস্তুত। এজন্য তারা কোনো ব্যক্তিকে শত্রু চিহ্নিত করলে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে তাকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল অবলম্বন করতে পারে।
রুমিন বলেন, জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা পার্টির কমান্ড মানে—তাদের আচরণ অনেকটাই মিলিটারি স্টাইলের। অনেকে বলছেন, জামায়াত “ভেরি ওয়েল অর্গানাইজ” এবং পার্টি যদি কাউকে হুমকি মনে করে, তারা দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ করে। তিনি আরও জানান, আজকের রাজনীতির দুইটা মাঠ আছে—প্রচলিত মাঠ এবং ডিজিটাল মাঠ; আর ডিজিটালে জামায়াতের উপস্থিতি শক্তিশালী ও বহুল প্রভাব বিস্তারকারী।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জামায়াত তাদের প্রতিপক্ষ কিংবা যাকে তারা হুমকি মনে করে, তাকে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করে; প্রচুর বট আইডি ব্যবহারের মাধ্যমে কটুক্তি ও মানহানিকর মন্তব্যও ছড়িয়ে দেয়া হয়—এমন উদ্বেগও তুলে ধরেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার আজ অনেকটা ম্লান; কোনো অবস্থাতেই ব্যক্তিকে পিটিয়ে বা মেরে ফেলার কণ্ঠস্বর গ্রহণযোগ্য নয়, তবু এমন ঘটনা ঘটছে।
রুমিনের এই বক্তব্য রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পড়েছে—বিশেষত ডিজিটাল সহিংসতা ও সংগঠিত রাজনৈতিক আক্রমণের প্রসঙ্গগুলো নিয়ে।
Leave a Reply