২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ—ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে নির্বাচিত হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ ছিল বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সর্বশেষ সভায় জানানো হয়েছে, এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের ভর্তি সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। আর বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণও বৈধ ছিল না। তাই গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করার জোর সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ভর্তি বাতিল হলে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থীতা ও নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্তভাবে অবৈধ হয়ে যাবে।
অভিযোগকারী জিএস প্রার্থী রাশেদ খাঁন বলেন, রাব্বানী শিক্ষার্থীদের ভোটে জিএস নির্বাচিত হননি; তৎকালীন প্রশাসন ফলাফল ছিনতাই করে তাকে ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘ সময় পরে হলেও ন্যায়বিচারের পথে অগ্রগতি হচ্ছে—এটাই তার তৃপ্তি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু গোলাম রাব্বানী নয়, ক্রিমিনোলজি বিভাগের মেহজাবিন হক ও ফাহমিদা তাসনিম অনির এম.ফিল ভর্তিও জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। তাই তাদের ভর্তিও আইনের দৃষ্টিতে বাতিল বলে গণ্য হবে।
তদন্ত কমিটি আরও জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ব্যালট দখল, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটে বাধা, ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়ম ঘটেছে। তবে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন।
Leave a Reply