পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কাতারে আল জাজিরার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাকিস্তানের একটি “বড়, সুপরিচিত ও কার্যকর” সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী রয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতিতেই প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে সক্ষম। তিনি বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যদি জাতিসংঘের বাইরে কোনো যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়, তাহলে পাকিস্তান উম্মাহর সদস্য হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবে।
দার সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রকে পাকিস্তান শুধুই প্রতিরোধের জন্য রাখে এবং ব্যবহার করার কোনো ইচ্ছা নেই; তবে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে দেশ আত্মরক্ষায় প্রতিক্রিয়া দেখাবে—এটাও তিনি interview-এ স্পষ্ট করেছেন। তিনি সামরিক হস্তক্ষেপকে শেষ অপশন হিসেবে উল্লেখ করে কূটনীতি ও আলোচনার ওপর জোর দিয়েছেন, তবে প্রয়োজন হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা সমন্বিত উদ্যোগের মতো বাস্তব পদক্ষেপও নেওয়া যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হয় বা বড় দেশগুলো কর্তাব্যর্থ থাকে, তাহলে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন—সেখানে হয়তো হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন পড়তে পারে, এমন বাস্তবতা তিনি তুলে ধরেছেন। সাক্ষাৎকারটি আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনের আগে রেকর্ড করা হয়েছিল।
Leave a Reply