বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি টক শোতে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, নেপালের অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো পরিস্থিতির চাপ সামলাতে গিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সেখানে ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করেনি। তারা পড়ার টেবিলে ফিরে গিয়েছে, ফলে অভ্যুত্থানের চেতনা নষ্ট হয়নি।
রুমিন ফারহানা বলেন, নেপালের অসন্তোষের পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের সামাজিক বৈষম্য বড় ভূমিকা রেখেছে। নেপো চাইল্ড বা রাজনীতিবিদদের সন্তানরা বিলাসী জীবনযাপন করছে, যেখানে সাধারণ মানুষের সন্তানরা সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে জীবনযাপন করছে। এই বৈষম্যই নেপালের অভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে।
তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব যথাযথভাবে সামলেছেন। ছাত্ররা রাজনৈতিক দল না করায় তারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছে এবং দেশের স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। রুমিন ফারহানা বলেন, “নেপালের ছাত্ররা দলের বাইরে থেকেও দায়িত্বশীল এবং সংহতভাবে কাজ করছে, যা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনীয় নয়।”
Leave a Reply