বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নাগরিক হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে সব গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারানোর কারণে অনেকের মনে অসহিষ্ণুতা জন্ম নিয়েছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে একজন মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য মনুষ্যত্ব অর্জন ও পশুত্ব বর্জনই হতে হবে আমাদের অঙ্গীকার।
শনিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সহানুভূতি ও প্রাণীদের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করা মানবসমাজের নৈতিকতার পরিচায়ক। মানুষের নিজস্ব প্রয়োজনের পাশাপাশি প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখা উচিত।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের অধিকারের সম্পর্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে প্রাণী ও বন্যপ্রাণীর অধিকারের সম্পর্কও তেমনি। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকলে প্রকৃতিও নিরাপদ থাকে। তিনি “প্রাণ বাঁচাও, প্রাণী বাঁচাও, দেশ হোক সব প্রাণের নিরাপদ আশ্রয়স্থল” এই স্লোগান দেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ প্রাকৃতিক উপায়ে মশার বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শহরে ও নগরে ব্যাঙের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেশে ১,৬০০ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। সুন্দরবনের বাঘ ও হাতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তারেক রহমান আশ্বাস দেন, জনগণ যদি বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেয়, তবে প্রাণী, বন্যপ্রাণী এবং বাস্তুতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনগুলো সময়োপযোগী করা হবে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপির উচ্চপদস্থ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply