ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল—এমন তথ্য পেয়েছে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থা। লন্ডনভিত্তিক মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কায়রো স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে—মিশরের মাটিতে এমন কোনো হামলা হলে সেটি দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর কঠোর জবাব দেবে কায়রো।
সংবাদমাধ্যমটিকে এক উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা সূত্র বলেন, ইসরায়েল কিছুদিন ধরেই কায়রোতে হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করছে। এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সময় এমন একটি হত্যাচেষ্টা মিশরের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়েছিল।
সম্প্রতি দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিন দেহরক্ষী ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন—বিদেশের মাটিতেও হামাসকে টার্গেট করবে ইসরায়েল।
এর প্রেক্ষিতেই মিশরীয় কর্মকর্তাদের এ সতর্কবার্তা আসে। সূত্র জানায়, মিশরের ভেতরে হামাস নেতাদের ওপর হামলা চালানো হলে তা কার্যত যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে। যদিও হামাসের শীর্ষ নেতারা বর্তমানে কায়রোয় অবস্থান করছেন কি না—সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা নেই। তবে কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই আছেন বলে জানাচ্ছে মিডল ইস্ট আই।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থান এবং ফিলিস্তিনিদের উত্তর সিনাইয়ে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে মিশর-ইসরায়েল সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এর আগে আগস্টে একই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, মিশর প্রায় ৪০ হাজার সেনা গাজা সীমান্তে মোতায়েন করেছে যাতে ফিলিস্তিনিরা সিনাইয়ে প্রবেশ করতে না পারে।
Leave a Reply