বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন—রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে গণতন্ত্রচর্চা আগের মতোই চলবে। শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ : জনমানুষের ভাবনা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন—“খুব জোর দিয়ে বলছি, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমরা পরিবর্তন না আনি, তাহলে ভবিষ্যতের ডেমোক্রেটিক প্র্যাকটিসটা আগের মতই হবে। আর সেটি আমাদের কাম্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির লক্ষ্য। রাষ্ট্রকে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে একটি ট্র্যাকে তোলা হয়েছে, এখন এটিকে সাংবিধানিক ও আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়া জরুরি।
বিএনপির এই নেতা বলেন—জনগণ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায় হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য জাতীয় প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, জুলাই আন্দোলন সেই সুযোগ তৈরি করেছে। নানা মতভেদ থাকলেও এ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা জরুরি।
এসময় তিনি সাংবিধানিক সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন—যারা এখনই তা চাইছেন, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ছাড়া গণতন্ত্র অগ্রসর হবে না—এই মন্তব্যকে অনেকে সময়োপযোগী বলে মনে করছেন। অন্যদিকে, ভিন্নমতও রয়েছে। কারও মতে, গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য শুধু রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়, বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা ও জনসম্পৃক্ততাই মুখ্য।
Leave a Reply