ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোপ্রধান জন রিড বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনকালে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা যেন সিনেমার কাহিনির মতো। বৃহস্পতিবার প্রচারিত ‘Bangladesh’s Missing Billions, Stolen in Plain Sight’ শিরোনামের তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তথ্যচিত্রে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ পাচারের প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। ব্যাংক দখল, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি এবং অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল বা হুন্ডি ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে বলা হয়েছে। ব্যাংক পরিচালকদের উপর প্রভাব বিস্তার করে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়েও সমালোচনা এসেছে।
এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমকেও অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যদিও তারা পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তথ্যচিত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে অর্থ পাচার করা হতো এবং হুন্ডি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকা বিদেশে নেওয়া হতো।
এফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে টাকা পাঠানোর জন্য মূলত তিনটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে—‘ওভার ইনভয়েসিং’, ‘আন্ডার ইনভয়েসিং’ এবং অনানুষ্ঠানিক হুন্ডি নেটওয়ার্ক। এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে বিপুল অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তথ্যচিত্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাশাপাশি সাবেক শাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। লন্ডনে থাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিভিন্ন সম্পত্তির খতিয়ানও তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লুটপাটের পরিমাণ এক দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের অর্থ লুণ্ঠন হতে পারে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ব্যাংকিং এবং ব্যবসায়িক খাত মিলিয়ে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার লুটপাট হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তথ্যচিত্রে লুটপাটের প্রক্রিয়া ও প্রভাবের নানা উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।
Leave a Reply