বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দুপুর আড়াইটায় দেওয়া এক বিশেষ আবহাওয়া বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, দুপুর ১২টার সময় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়:
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।
ঝোড়ো হাওয়ার আকারে এটি বেড়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের আশপাশে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ও চরাঞ্চলে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কেউ যেন গভীর সমুদ্রে না যায়।
Leave a Reply