বিএনপি মনে করছে, কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির অপরাধের দায়ে পুরো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অধিকাংশ সেনাসদস্য মন থেকে চান, সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক।
শনিবার রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচার কেবল অতীতের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় পুনরায় না ঘটায়, তারও নিশ্চয়তা দেয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাই হতে পারে শান্তিপূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি। বিএনপি মনে করে, একজন ব্যক্তির গুরুতর অপরাধের দায় তার নিজস্ব; কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপানো উচিত নয়। সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা অক্ষুণ্ণ রাখা প্রয়োজন।
দলটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ফ্যাসিবাদের সময় সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার বিএনপি। দল সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে। কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে বিবেচ্য কেবল ব্যক্তির অপরাধ ও আইনের শাসন, প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নয়। সেনাবাহিনী দেশের গর্বিত সন্তান এবং জনগণের আস্থা রক্ষা করতে হবে।
বিএনপি বিশ্বাস করে, সেনাবাহিনীর প্রতি সর্বজনীন আস্থা ও মর্যাদা রক্ষা করা দেশের জন্য জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সরকার সেনাবাহিনীকে অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে না পারে।
Leave a Reply