ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইবি শাখা ছাত্রদল। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী’র কার্যালয়ে গিয়ে ফ্যাসিস্টের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝালচত্বর মেরামত এবং শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের লোয়ার ও হায়ার বোর্ডের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।
এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘আপনারা এমন ভাব দেখান, যেন আপনারা কিছু বোঝেন না। আপনারা আছেন আওয়ামীলীগ আর ছাত্রলীগের পুনর্বাসন নিয়ে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ হায়ার বোর্ডে কারা রয়েছে, আপনারা সেটা বলেন, আমাদের সাংবাদিকরাও জানেন না। আপনাদের যা ইচ্ছা তাই গোপনে গোপনে করছেন। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ২৬ জন চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট রয়েছে। আপনারা কেন তাদের সুযোগ দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে বোর্ডে ছাত্রলীগ আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। তাদের পুনর্বাসন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও গতকাল ‘ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে বোর্ডে যে চেয়ারম্যান একটি ফ্যাসিস্ট অভিযোগে জড়িত, তাকে সেখানে সদস্য করা হয়েছে। আপনি ফ্যাসিস্টদের সাথে প্রেম প্রেম খেলবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্রদল তা কখনো মেনে নেবে না।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে
উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে ভিসি স্যার মিডিয়ার সামনে বলেছেন— শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী কার্যক্রম বিবেচনা করা হবে (প্রার্থীর ক্ষেত্রে) তার রেজাল্ট এবং লিখিত পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট মার্ক দেওয়া হবে। সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট মার্ক দেওয়া হবে। সেই মার্ক গুলো যোগ করে যিনি মেধার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করবে তাকেই নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, আমার দায়িত্ব হলো- উপাচার্যের কাছে আপনাদের দাবি পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু আপনাদের দাবি ব্যক্তিগতভাবে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। প্রো-ভিসির কাজ হলো ভিসি যদি কোনো কাজ দেয় সেটি তামিল করা। ভাইস চ্যান্সলরের কথা তামিল করা ছাড়া আমার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
এসময় তিনি (উপ-উপাচার্য) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে ফোনালাপের মাধ্যমে দাবিগুলো তুলে ধরেন। ফোনালাপে উপাচার্য রেজিস্ট্রারকে দিয়ে সিআইডি’র এসপিকে চিঠি দিতে এবং ঝালচত্বরে মাটি ভরার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। আর লোয়ার বোর্ডের তালিকা প্রকাশ করা হয় না এবং কোন ফ্যাসিস্টকে নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন।
Leave a Reply