কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ স্টেশন এলাকায় মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা প্রায় ১১ টন (২১৩ বস্তা) অবৈধ সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেসার্স এস. কে অটো রাইচ মিলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামনাশীষ সরকার এবং উখিয়া থানার পুলিশ সদস্যরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উক্ত রাইচ মিলে মোট ৩০০ বস্তা অনুমোদনহীন সার মজুদ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে অভিযানের সময় ২১৩ বস্তা সার জব্দ করা সম্ভব হয়। বাকি প্রায় ৮৭ বস্তা সার গোপন স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশিষ্ট সার উদ্ধারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
অভিযুক্ত মেসার্স এস. কে অটো রাইচ মিলের মালিক আলহাজ্ব এম. কবির-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামনাশীষ সরকার বলেন,
কৃষকদের ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে কেউ অবৈধভাবে সার মজুদ বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের অভিযান সেই ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ।”
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন,
উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধ সার মজুদ ও পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান,
চলতি মাসে তার বরাদ্দ ছিল ১১ টন সার, অথচ তিনি অতিরিক্ত ১১ টন সার অবৈধভাবে মজুদ করেছেন। কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সার পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে—এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, উদ্ধার করা সার সংরক্ষণের পাশাপাশি তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ সার মজুদ ও পাচার রোধে এমন অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এর আগে গত মাসেও একই এলাকায় ৩৬০ বস্তা অবৈধ সার জব্দ করা হয়েছিল।
Leave a Reply