ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় করায় আন্তর্জাতিক স্তরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেক সমালোচক মনে করছেন, শান্তির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বার্তা সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে, বিশেষ করে নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে।
নোবেল কমিটি মাচাদোকে ‘শান্তির প্রতীক’ আখ্যায়িত করেছে। কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস বলেছেন, মাচাদো বিভক্ত বিরোধী রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং গণতন্ত্র রক্ষায় সাহসিকতার প্রতীক হয়েছেন। তিনি দেশ ছাড়েননি, এমনকি প্রাণনাশের হুমকির মধ্যেও নিজ ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন।
তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, যিনি বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং পশ্চিমা স্বার্থকে সমর্থন করেছেন—তার হাতে শান্তির নোবেল দেওয়া নোবেলের মূল দর্শনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
মাচাদো পুরস্কার পাওয়ার পর সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরস্কারটি তাকে উৎসর্গ করেন। মাচাদো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, এটি ভেনেজুয়েলাবাসীর সংগ্রামের প্রতি স্বীকৃতি এবং স্বাধীনতা অর্জনের প্রেরণা।
এই বিতর্কে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক প্রভাব ও লাতিন আমেরিকায় স্বার্থের সঙ্গে নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের সংযোগ। নরওয়ের সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা মাচাদোর পুরস্কারকে সমালোচনা করেছেন, মনে করছেন এটি শান্তি পুরস্কারের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জাগোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশ্ন এখন উঠছে—মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নোবেল কি সত্যিই শান্তির, নাকি রাজনীতির পুরস্কার?
Leave a Reply