শনিবার দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কুরআন অবমাননার ভিডিও প্রকাশ পায়। ভিডিওতে দেখা যায়, অপূর্ব ক্লাস রুমের বাইরে কুরআনকে পায়ের নিচে রাখছেন, লাথি দিচ্ছেন এবং পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলছেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়।
ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া আসে, এবং অপূর্বকে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে একদল ছাত্র-জনতা রাতে তার বাসার নিচে বিক্ষোভ শুরু করে। ভাটারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে জনতা উত্তেজিত হয়ে অপূর্বকে মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডাকা হয়। পৌনে ৩টার দিকে অপূর্বকে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান জানান, জনতার মারধরে আহত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেওয়া হবে।
নর্থ সাউথের এক শিক্ষার্থী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রাক্তন সমন্বয়ক নাফসিন মেহনাজ গ্রেফতারির ছবি শেয়ার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম সকলকে শান্তি ও সহনশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
Leave a Reply