1. 01404006688bd@gmail.com : জুলিয়া জাহান : জুলিয়া জাহান
  2. mdaloar1986@gmail.com : মোঃ দেলোয়ার হোসেন : মোঃ দেলোয়ার হোসেন
  3. admin@nondito.tv : admin :
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

গুইমারাতে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন

দিদারুল হৃদয়, গুইমারা 
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে,প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গকরে গুইমারাতে রাস্থা অবরোধ,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, পাহাড়ি ও বাঙালিদের সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

মঙ্গলবার ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুইমারা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করতে এসে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলেন,ক্ষতিগ্রস্থরা প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।এসময় প্রশাসক বলেন,আমরা এসেছি যারা ক্ষতিগ্রস্থদের সমবেদনা জানানোর জন্য।তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে,তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিব আমরা। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বলেন,যারা অবরোধ দিয়েছে আপনারা তাদের বলুন অবরোধ তুলে নিতে।তারা অবরোধ প্রত্যাহার করলে প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করবে।

তিনি আরো বলেন,অবরোধকারীদের সঙ্গে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছে। তাদের যে ৮ দফা রয়েছে তার মধ্যে আমরা সাতটা এড্রেস করেছি। আমরা চাই আলোচনার টেবিলে যেন বিষয়টির সমাধান হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন,গুইমারায় সহিংসতায় যারা হতাহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে মামলা করার জন্য অনুরাধ করা হয়েছে। তারা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

পরিদর্শনের খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা,মারমাঐক্য পরিষদের সভাপতি ¤্রাসাথোয়াই ,গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার,গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সকল অতিথি রামসু বাজার বটতলাতে নিহত থোয়াইচিং মারমার বাড়ীতে গিয়ে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জনান এবং জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।অন্য দুইজন নিহত পরিবারকে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ও ঘরহারা ৮০ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাইল ও কিছু কাপড় দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য,খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ডাকা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। জেলার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও অল্পসংখ্যক অটোরিকশা-ইজিবাইক চলাচল করছে। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাও বহাল রয়েছে জেলার সদর ও গুইমারা উপজেলায়।
উল্লেখ্য,জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগনের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশক্ষায়,খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উপজেলার খাদ্য গুদাম এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে সম্পুর্ণভাবে রাস্তা বন্ধ করে দেয় ইউপিডিএফের নেতৃত্বে উগ্রবাদী উপজাতীয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সরে যেতে অনুরোধ করে।এতে উগ্রবাদী উপজাতীয় নারী-পুরুষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয় এবং উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ভাড়াবাসায় পরিচালিত (ভবন) শিক্ষা অফিস,সমাজসেবা,যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ কয়েকটি দোকান,বাড়ী ও মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় উগ্রবাদী হিং¯্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে উপজাতীয় উগ্রবাদীরা সংঘবদ্ধভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর ইট,পাথর,গুলতি,লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে।উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় মেজরসহ সেনাবাহিনীর ১৩ সদস্য আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, উগ্রবাদী উপজাতীয়রা গুইমারা বাজারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় বাঙালিদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে।এরপর পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উচু স্থান থেকে মুহু মুহু গুলিবর্ষণ করে।সহিংস এ ঘটনায় তিন জন পাহাড়ী নিহত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost