বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভুলভাবে প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হলে পিআর পদ্ধতি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ইশরাক বলেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য ভোটের শতাংশ দেশের মোট নিবন্ধিত ভোটারের তুলনায় নগণ্য হয়, তখন পিআর সিস্টেম ব্যবহার করে সেই দলটি ক্ষমতা ক্ষেতে আনুষঙ্গিকভাবে বড় দলের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের স্বার্থে ভোট কাস্ট করতে পারে—এতে দেশবিরোধী গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বেড়ে যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, এমন কৌশল দেশের নিয়ন্ত্রণ দখলে রাখার উদ্দেশ্য থেকেই নাও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মাটিতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আছে যারা তত্ত্বগতভাবে ও কিছু ক্ষেত্রে সশস্ত্রকেও সমর্থন করে; এসব গোষ্ঠীর একটি অংশ বিদেশি পৃষ্ঠপোষণও পেতে পারে। গত ১৭ বছরে যে সমর্থক গোষ্ঠীগুলো গঠিত হয়েছে, তারা যদি সংসদে শক্তি পান এবং পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে আলাদা করার দাবিতে দাঁড়ায়, তাহলে দেশের একসংগতির জন্য তা বিপজ্জনক গুরুত্ব ধারণ করবে—এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেন ইশরাক।
পোস্টে তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রতিবেশী কোনো মহাশক্তি বা বিদেশি শক্তি পার্সোনালির মাধ্যমে দেশকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে—এমন ঝুঁকি এখানে আছে। অতীত ও বর্তমান সময়ে যারা স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাগত করেননি বা বিক্রি করেছেন, তাদের কথাই তিনি স্মরণ করেন এবং বলেন, জনগণ কোনো দালালের কাছে রাজপথ ইজারা দেবে না। তিনি দেশের সেবা ও স্বাধীনতার প্রয়োজনে নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন—দেশের শত্রুদের পেছনে না নামার অঙ্গীকার থাকবে।
ইশরাক হোসেনের মতামতগুলো রাজনীতি ও আইনি রঙে পিআর পদ্ধতির সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সরু ও স্পষ্ট বিতর্কের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছে—এবং এটি আগামী নির্বাচনী নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার খাদ্য যোগাবে।
Leave a Reply