বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত কর্মকর্তা মোছা. ইরিনা নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্নাতকোত্তরের সনদ জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার ড. মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ১১৫তম সিন্ডিকেট সভায় ইরিনা নাহারের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তোলা হলে সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া কীভাবে তিনি জাল সনদে চাকরি পেলেন ও প্রমোশন পেলেন তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে ৭ দিনের সময় দিয়েছিল সনদের আসল কাগজপত্র জমা দিতে। কিন্তু ইরিনা নাহার জমা দিতে ব্যর্থ হলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদানের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক, ও দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে (বিপিএড) ডিগ্রীধারী হতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্মাতকোত্তর ডিগ্রীর উল্লেখ থাকলেও এই কর্মকর্তা স্নাতকোত্তরের ডিগ্রী ছাড়াই তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া তাকে এডহকে নিয়োগ দেন। জানা যায়, চাকরিতে যোগদানের দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০২২ সালে তিনি ব্যক্তিগত ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্নাতকোত্তর পাশের একটি সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তবে বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আনা সেই সনদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাচাইকালে সেটি জাল বা ভুয়া বলে প্রমাণ হয়। কিন্তু সেসময় এতে কোনো শাস্তি বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, ২০১২ সালের ১ মার্চ ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. শাহজাহান আলী মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক নিয়োগ পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান এ কর্মকর্তা। ৬ মাস শেষ হওয়ার পর এডহক ভিত্তিতে উপাচার্যের নিজস্ব ক্ষমতায় পুনরায় ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তাকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।
এই বিষয়ে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মোছা. ইরিনা নাহার বলেন, আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি সেটাই দিয়েছি। আমি কী জানতাম এটা জাল না কী।
Leave a Reply