শরতের আগমন উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুইদিন ব্যাপি শরৎ সম্ভাষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবান্ধব সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’র আয়োজনে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে ‘শরৎ সম্ভাষণ’ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য থেকে বিলীন হয়ে যাওয়া ‘বায়োস্কোপ’ পরিবেশিত হয়। বায়োস্কোপ দেখতে শিক্ষার্থীরা ভিড় জমান। অনুষ্ঠান শেষে আগুন জ্বালিয়ে মশাল গান পরিবেশিত হয়।
শরৎ সম্ভাষণে এসে শিক্ষার্থীরা জানান, ‘অভয়ারণ্য সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। কারণ এখানে বিলীন হওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ‘বায়োস্কোপ’, মৃৎশিল্প, ভেলা ভেলা মেঘের দলা, উন্মুক্ত খাঁচা প্রদর্শন করা হচ্ছে। একদিকে যেমন আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে অন্যদিকে পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন লেখকের সুন্দর সুন্দর বই রাখা হয়েছে যেটা আমাদের জন্য জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করেছে। সব মিলিয়ে তাদের আয়োজন অনবদ্য ছিলো।’
অভয়ারণ্যের সভাপতি নিয়ামুল ফারাবী বলেন, ‘প্লাস্টিক ও বর্জ্য থেকে তৈরি রঙিন সজ্জা দিয়ে অনুষ্ঠান স্থল সাজানো হয়েছে যেটা পরিবেশবান্ধব। ঝুলানো কাগজের মেঘ, পাখি আর শরৎ ঘন ডেকোরেশন একটা বিশেষ আকর্ষণ। ঐতিহ্যবাহী মাটির শিল্পপণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে যেন শিক্ষার্থীরা তাদের হারানো অস্তিত্ব জানতে পারে। এছাড়া খাঁচা সাজানো হলেও ভেতরে কোনো পাখি রাখা হয়নি—যেন উন্মুক্ত আকাশে স্বাধীনতার প্রতীক ফুটে ওঠে। সবকিছুর মধ্যেই ছিল শরৎকে বরণ আর পরিবেশবান্ধব সংস্কৃতি প্রচারের বার্তা। শুধু সাজসজ্জা নয়, এবারের মূল আকর্ষণ ছিল পুরোনো দিনের বিনোদন বায়োস্কোপ। দর্শনার্থীদের জন্য এতে তুলে ধরা হয়েছে চর্যাপদ থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলা সাহিত্য–সংস্কৃতি। তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।’
Leave a Reply