ইসরায়েল গাজা শহরে পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযান শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন—“গাজা জ্বলছে, সৈন্যরা জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে পরাজিত করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যে, গত দুই বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। রাতভর বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আর ট্যাঙ্ক অগ্রসর হওয়ার দৃশ্য যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মতো।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার ভেতরে গভীরে প্রবেশ করেছে স্থলবাহিনী এবং আরও সেনা মোতায়েন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, শহরে এখনো অন্তত তিন হাজার হামাস যোদ্ধা অবস্থান করছে।
অভিযানের প্রথম ঘণ্টাগুলোতেই অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে চলছে মরিয়া চেষ্টা। শিশু থেকে নারী—সবাই রক্তাক্ত এই আক্রমণের শিকার।
রয়টার্সের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভেঙে পড়া বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপে মরদেহ উদ্ধার করছে স্থানীয়রা। কান্না ও আতঙ্কে ভারী হয়ে উঠেছে গাজার আকাশ।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন এই অভিযানকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছে। কমিশনের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ নেতাদের উসকানিতেই এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলের এই অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েল আবারও সাধারণ নাগরিকদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাড়ি, রিকশা, গাধার গাড়ি এমনকি পায়ে হেঁটেও দক্ষিণের পথে যাত্রা করছেন।
এক গাজার বৃদ্ধ বাসিন্দা আবু তামের হৃদয়বিদারক বক্তব্য—“তারা আমাদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, স্কুল ও সড়ক ধ্বংস করছে। তারা আমাদের স্মৃতিগুলো মুছে দিচ্ছে।”
Leave a Reply