কাতারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইসরাইলের কাতারে চালানো ‘বেপরোয়া ও উসকানিমূলক’ হামলাকে কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী এই হামলাকে ভ্রাতৃপ্রতিম ইসলামী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি গাজায় তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানান এবং ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসন মোকাবেলায় আরব-ইসলামিক একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ইসরাইলের গণহত্যামূলক অভিযান গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং মানবতার ওপর অমোচনীয় ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তিনি ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর হামলার কথাও তুলে ধরেন, বিশেষ করে ১০ বছর বয়সি আমীরের উদাহরণ দেন, যাকে খাবারের সন্ধানে বের হলে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ যুদ্ধে ইতোমধ্যে ৬৪ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অবিলম্বে নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে, বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মানবিক সহায়তার পাশাপাশি সাংবাদিক ও জাতিসংঘ কর্মীদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, পূর্ব–১৯৬৭ সীমানা অনুযায়ী আল কুদস আল শরিফকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।
দোহা সম্মেলনের বাইরে তিনি সৌদি আরব, মিশর ও জর্ডানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকগুলোতে ইসরাইলের হামলাকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
শাহবাজ শরিফের মতে, দোহা সম্মেলন বিশ্ববাসীর কাছে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। মুসলিম দেশগুলো ইসরাইলের অবৈধ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একত্রিত এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকবে।
Leave a Reply