জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের একনায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিয়ে সরকারের ও কিছু পক্ষের ছলনাময় আচরণ দেশকে বিপদে ফেলছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন এবং বলেন, ‘মাহফুজ আলমকে বারবার লক্ষ্য করে হামলা হচ্ছে; সেই হামলার পেছনে মৌন সম্মতি রয়েছে’—এ ধরনের তীব্র অভিযোগও দেন তিনি।
নাহিদ ইসলামের কথায়, লন্ডনে গতকাল মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছে। এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ওপর হামলা ও অপমানে করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, ‘বারবার হামলার আস্তা-প্রমাণ এটা দেখায় যে মাহফুজ আলমই টার্গেট—এখন আর এক জনের সমস্যা নয়, পরবর্তী ধাপে প্রত্যেকেই টার্গেট হতে পারি।’
এনসিপি আহ্বায়ক আরও জানান, গণঅভ্যুত্থানের পরে যারা অন্তর্ভুক্তি, দায়-দায়িত্ব ও দরদনের রাজনীতি করছেন, তাদের প্রতি বিরোধিতার নামে কিছু গোষ্ঠী প্রতিশোধ ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি শুরু করেছে। নাহিদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধিতার নামে এমন কর্মকা-র্ম চালালে শেষপর্যন্ত তা আবার ফ্যাসিবাদের উত্থানকে অনুকূলে কাজ করবে।’ তিনি ভেবেচিন্তে সতর্ক করে বলেন—‘‘সময় সাক্ষী হবে; যদি তখন পর্যন্ত মাহফুজ বাঁচেন, তাহলে দেখা যাবে তিনি সঠিক ছিলেন।’’
নাহিদ ইসলাম সরকারের ভূমিকা ও অবস্থান নিয়ে কড়া ভাষায় অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ‘মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় এই অন্তর্বর্তী সরকার এবং উপদেষ্টা পরিষদ কোনো শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়নি; কোনো নির্দেশ, কোনো স্পষ্ট নিন্দা বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা দেখা যায়নি।’ এমন বিরামহীন নীরবতা কখনও কখনও ‘মৌন সম্মতি’ হিসেবে পড়তে পারে—এমন কথাও বলেন তিনি। নাহিদ অভিযোগ করেন, সরকার ও উপদেষ্টাদের ভেতরে মাহফুজ আলমকে অপদস্থ ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে, ফলে তাদের ‘যথেচ্ছাব্যবহার’ এখন মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এনসিপি আহ্বায়ক তাঁর পোস্টে আরও বলেন, ‘আমরা এসব মনে রাখছি এবং রাজনৈতিকভাবে এর জবাব দেয়া হবে।’ তিনি জনগণ ও রাজনৈতিক মহলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, প্রতিষ্ঠিত আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এসব ঘটনা বিচার হওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লন্ডন ও অন্যান্য শহরে শুনানিসভা, আলোচনী বা সভা উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের_some প্রতিনিধি–উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভ হয়েছে; আর এরই ধারাবাহিকতায় নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ক ও সমর্থক-প্রতিবাদকে আরও জোরালো করেছে।
Leave a Reply