রাজধানীর ঢাকায় স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী ইডেন মহিলা কলেজের সামনে ইডেনের ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২:৩০ এ ইডেন কলেজ ২ নং গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে জড়ো হন এই কর্মসূচিতে।
“নারীদের প্রতিষ্ঠান , কেড়ে নেয়া যাবে না “, ” এক দুই তিন চার, ইডেন আমাদের অহংকার”, “তোমার কলেজ, আমার কলেজ, ইডেন কলেজ ইডেন কলেজ ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় ।
সেইসাথে তাদের হাতে প্লেকার্ডগুলোয় লেখা ছিলো “University মানেই Combined নয়, আছে বিকল্প পদ্ধতি ” “সহশিক্ষা নারী নিরাপত্তার অন্তরায়” ইত্যাদি।
এসময় তারা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১। যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে নারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ইডেন মহিলা কলেজের অনুরূপ শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ইডেন কলেজে কোনো অবস্থাতেই সহশিক্ষা চালু না করা।
২। অনার্সের সিটসংখ্যা অতিরিক্ত হারে না কমানো। তবে এতে যদি শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা সম্ভব না হয় তবে আনুপাতিক কিছু সিটসংখ্যা কমানো যেতে পারে। তবে উদ্দেশ্য এটাই থাকতে হবে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত যত বেশিসংখ্যক নারীকে উচ্চশিক্ষার আওতায় আনা যায়।
৩। ইডেন মহিলা কলেজে ইন্টারমিডিয়েট চালু না করা।
৪। সর্বোপরি ইডেন মহিলা কলেজকে নিয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না যাতে করে বাংলাদেশে নারীদের উচ্চশিক্ষার পথ সংকুচিত হয় এবং সর্বোপরি নারী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।
এ বিষয়ে তারা বলেছেন যে,বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর অনেক দেশেই নারীদের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাংলাদেশের সাড়ে আট কোটি নারীর জন্য একটিও নেই। ফলে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ইডেন মহিলা কলেজ শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের জন্য সবচেয়ে বড় সরকারি ফ্যাসিলিটি। আর তাই ইডেন কলেজকে নারীবান্ধব রাখাই শ্রেয়, এখানে সহশিক্ষা চালু করা যাবে না।
তারা জানান,তিনদিনের মধ্যে তাদের দাবিসমূহের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি) তাদেরকে আশ্বস্ত করবে, আর না হয় পরবর্তীতে আরো কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারে।
Leave a Reply