1. 01404006688bd@gmail.com : জুলিয়া জাহান : জুলিয়া জাহান
  2. mdaloar1986@gmail.com : মোঃ দেলোয়ার হোসেন : মোঃ দেলোয়ার হোসেন
  3. admin@nondito.tv : admin :
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নিদর্শন যাত্রাবাড়ীর জামান আসাদ সুপার মার্কেট

কামরুল হাসান পলাশ, প্রতিবেদক ডেমরাও যাত্রাবাড়ী
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১১৫ বার পঠিত

যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জামান আসাদ সুপার মার্কেট। জমান আসাদ সুপার মার্কেটের পূর্বের নাম ছিল খান মার্কেট। জামান সাহেব ছিলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক এমপি সজল মোল্লার আপন চাচা বাবুল মোল্লার অত্যন্ত আস্থাভাজন আওয়ামী লীগ নেতা। বাবুল মোল্লা ও জামান সাহেব তাদের ক্ষমতা দাপটে সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট সাথে নিয়ে খানমার্কেট দখল করে নেন। তখনকার খান মার্কেটের মাছের দোকানদার সবজির দোকানদার এবং দোকান মালিকরা তাদের কাছে একদিন সময় চাইলে তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট এবং জামান সাহেব এক মিনিটও সময় না দিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন। দোকান মালিকদের পড়তে হয় বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে। দোকানগুলো উচ্ছেৎ করে বাবুল মোল্লা ও জামান সাহেব রাজউকের কোনরকম পারমিশন ছাড়াই শুরু করে দেন বহুতল ভবনের কাজ। বাবুল মোল্লার ক্ষমতার জোরে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ব্যতীত সিটি কর্পোরেশনের লোগো ব্যবহার করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন জামান আসাদ সুপার মার্কেট। অনেক নিরীহ মানুষের দোকান দখল করে নির্মাণ করা হয় এই জামান আসাদ সুপার মার্কেট।এই মার্কেটের সামনে সরকারি খাল দখল করে তার ওপর বাশের মাচা বসিয়ে জামান সাহেব প্রায় পঞ্চাশের অধিক ফুটের দোকান তৈরি করে দেন। এই দোকানগুলোতে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা কালেকশন করা হয়।

এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নিদর্শন জামান আসাদ মার্কেটের বিষয়ে একটি সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয় অভিযোগ আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব তাৎক্ষণিক এটা তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

জমান সাহেব হোসনারা বেগম সহ অনেকের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেন। হোসনে আরা বেগম অসুস্থ থাকায় তার ছেলে মনজুর আলম খান রানার কাছে জমি দখলের বিষয়টি নন্দিত টিভির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন তৎকালীন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর বাবুল মোল্লার সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে একদিনে আমাদের দোকানগুলো উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করে নেন জামান সাহেব। আমরা বাধা প্রদান করতে গেলে নির্বাহী রেজিস্ট্রেট পুলিশের সাহায্যে আমাদের গ্রেফতারের হুমকি দেয়। আমরা বিরোধী রাজনীতি করার কারণে ভয়ে তখন ভালোভাবে প্রতিবাদ করতে ও পারি নাই।৫ ই আগস্ট এর পর আমাদের জমির দোকানগুলো আমরা বুঝে নিতে চাইলে সেনাবাহিনীকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের জমিগুলো সে এখনো দখলে রেখেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন জামান সাহেব কি আইন প্রশাসনের ঊর্ধ্বে জমি দখল করেও এখন তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার সিটি কর্পোরেশনের খালের জায়গা দখল করে টং এর দোকান বসিয়ে সেখান থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা কালেকশন করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

<script async src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-9605546039425134″
crossorigin=”anonymous”></script>

All rights reserved © 2019
Design By Raytahost