রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় বিস্মিত পুরো দেশ। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও। জানানো হয়েছে—এ ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পদ্মার মোড় এলাকায় তৌহিদী জনতা মরদেহটি কবর থেকে তুলে এনে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এমনকি সংঘর্ষে নুরাল পাগলার অনুসারী ও তৌহিদী জনতার মধ্যে এক যুবক রাসেল মোল্লা (২৮) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতী গিয়াস উদ্দিন তাহেরীও। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেছেন, “যদি কারো জীবনে শিরক, কুফরি বা অন্য কোনো অন্যায় থেকে থাকে, তবে প্রচলিত আইনে মামলা করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মৃত্যুর পর কবর খুঁড়ে লাশ বের করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া—এটি অকল্পনীয়। মুসলমানের ইতিহাসে এর কোনো নজির নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সমাজে ৫০-৬০ বছরের মানুষ আছেন। স্বাধীনতার আগে-পরের মানুষ আছেন। কেউ কি কখনো দেখেছেন কবর থেকে মুসলমানের লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা? আমরা কী বাংলাদেশ দেখছি!”
ঘটনাটি দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করছেন অনেকে। ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উগ্রতার এমন প্রকাশে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply